শিরোনাম
Passenger Voice | ১২:৪০ পিএম, ২০২৪-০৪-১৮
তীব্র গরমে রেললাইন বেঁকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে– এ শঙ্কায় ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে। যেসব সেকশন পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে রেললাইনের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি হলে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংস্থাটির পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, সারাদেশে নয়, বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে গতি কমানো হবে। পাথওয়ে ইন্সট্রাক্টররা (পিডব্লিউআই) রেললাইনের তাপ পরিমাপ করবেন। তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশ দেবে। একই তথ্য জানিয়েছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলামও।
তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি হলে তীব্র রোদের কারণে লোহার রেলপথ গরম হয়ে যায়। এ সময় রেললাইনের নিজস্ব তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। গরমে রেললাইন সম্প্রসারণ হয়। স্লিপার ভালো না হলে এতে অনেক রেলপথ বাঁকা হয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত হতে পারে। তা ঠেকাতে রেলের মাঠপর্যায়ের কর্মীদের কাছে রেললাইনের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র রয়েছে। তারা মেপে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেলেই গতি কমানোর নির্দেশনা দেবেন।
লোহার পাত জোড়া দিয়ে সমান্তরাল রেললাইন বসানো হয়। জোড়াগুলোর জায়গাতে সামান্য ফাঁকা রাখা হয়, যাতে তাপে লোহার সম্প্রসারণ হলে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। তবে অত্যধিক তাপে সম্প্রসারণ বেশি হয়ে গেলে দুর্ঘটনার শঙ্কা বেড়ে যায়।
অসীম কুমার তালুকদার বলেন, নতুন রেলপথ এবং অধিকাংশ মূল রেললাইনের আকার ৬০-৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও অপরিবর্তিত থাকে। সেখানে গতি কমানোর প্রয়োজন হয় না, পুরোনো লাইনে সমস্যা হয়।
যমুনা লাইনচ্যুত
বুধবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কমলাপুরগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। এতে প্রায় ৪৫ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পৌনে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত তিনটি বগি রেখে কমলাপুরে যায় যমুনা এক্সপ্রেস। পরে বগি তিনটি উদ্ধার হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্যা.ভ/ত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.